শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সহজ টিপস
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের ত্বকের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই ত্বকের যথাযথ যত্ন না নীলে অনেক ক্ষতি হতে পারে।
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া সরাসরি ত্বকের উপর প্রভাব ফেলাই ত্বক এবং শুষ্ক হয়ে
যায় তাই অনেক সময় ত্বক ফেটে যায়। এক্ষেত্রে ত্বক সুস্থ এবং মসৃণ রাখতে
সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের সকলপ্রকার যত্নের বিষয়ে এই
আর্টিকেলে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সহজ টিপস
শীতকালে ত্বকের যত্নে নিতে পানির ব্যবহার
শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে পানির ব্যবহার অপরিহার্য। প্রতিদিন পর্যন্ত পরিমাণে
7 থেকে 8 গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে
সাহায্য করে। ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখতে যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে।
পানি খুব বেশি ঠান্ডা হলে হালকা গরম করে খাওয়া যায়। এছাড়াও পানিতে লেবু
মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: নিয়মিত পানি পান করলে শরীরে কি কি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে
শীতকালে গোসলে যেসব পরিবর্তন আনতে হবে
শীতকাল গোসলের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা খুব প্রয়োজন। গোসলের ক্ষেত্রে খুব বেশি
অবহেলা করলে শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতিকর রোগ বাসা বাঁধে। তাই নিয়মিত গোসল
করতে হবে। গোসল করার সময় খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজন
হলে হালকা বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে খুব বেশি ক্ষতি হবে
না। গোসলের পর ত্বকে তেল ব্যবহার করুন। ক্ষেত্রে নারিকেল তেল বা
অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যাই। এটি শরীরে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
শীতকালে রোদে পোড়া ত্বকের জন্য বিশেষ প্রতিকার
শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা হলেও অনেক সময় রোদে ত্বকের অনেক ক্ষতি
হয়। বেশি সময় রোদে অবস্থান করলে ত্বক লালচে বর্ণ ধারণ করে। রোদে
পোড়া ত্বকের প্রতিকার হিসেবে অনেক ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। সরাসরি
এলোভেরা জেল ব্যবহারে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায় এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর
করে। পোড়া ত্বকে জ্বালাপোড়া হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুতে হবে এতে
জ্বালাপোড়া কম হবে। আমার পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রে শসার ব্যবহার করা যায়। এটি
ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাজা শশা কেটে ত্বকে লাগাতে হবে এবং শুকিয়ে গেলে তা
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এটি ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
শীতকালে কিছু নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা
শীতকালে কিছু নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুললে ত্বক এবং শরীর সুস্থ এবং রাখা
যায়। শীতকালে ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।
ঠোঁটের সঠিক যত্ন নেওয়া
শীতকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়া অনেক বড় একটি সমস্যা। ঠোঁটের ত্বক অনেক বেশি পাতলা হয় এটি খুব সহজে আদ্রতা হারায় এর ফলস্বরূপ ঠোঁট
খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ফেটে যায়। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করে ঠোঁট ফেটে যাওয়া বন্ধ করা সম্ভব। এর
জন্য লিপ বাম বাম বিভিন্ন তেল ব্যবহার করা যায় যা ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখতে
সাহায্য করে। আবার খাবারের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।
ভিটামিন সি শরীরের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যথা সম্ভব বেশি পরিমাণে পানি
পান করুন। উক্ত বিষয়গুলোর গড়ে তুললে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হওয়া এবং ফেটে যাওয়া
থেকে বিরত থাকবে।
খাদ্যাভ্যাসের যেসব পরিবর্তন আনতে হবে
শীতকালে সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। শীতকালে অনেক প্রকার সবজি উৎপাদন হয় যার নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকে
এবং সতেজ থাকে। শীতকালীন সবজি অনেক বেশি উপকারী হয়ে থাকে। এ সকল সবজিতে সকল ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়। এছাড়াও রাফেজ বা আশ যুক্ত খাবার গ্রহণ করা। আশ যুক্ত খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে। পুষ্টি বা প্রোটিনের জন্য দুধ ডিম পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া। এছাড়াও খাবারে বাদাম যুক্ত করা। বাদাম শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করে এবং অনেক পুষ্টিও প্রদান করে। ঠান্ডা এড়িয়ে চলার জন্য পানি পানের ক্ষেত্রে হালকা বা কুসুম গরম পানি পান
করতে হবে। মিষ্টি বা বা চিনি মিশ্রিত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। অত্যন্ত ক্ষতিকর চিনির শরীরের জন্য। শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য উক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
ধূমপান শরীরে অনেক বেশি ক্ষতি সাধন করে। ধূমপান করলে ফুসফুস তার কার্যক্রম দ্রুত হারায়। এছাড়াও ধূমপানের জন্য শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন হাঁপানি এবং কাশির মতো
সমস্যা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে অ্যালকোহল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এটি সংক্রামক
এবং কাশির আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আবার অ্যালকোহল শরীর থেকে বিভিন্ন তরল এবং তাপ দ্রুত বের করে দেয়। তাই এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা অপরিহার্য।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমার অভ্যাস করা
ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ঘুম শরীর কে সতেজ এবং সুস্থ রাখে। ঘুম শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ঘুম শরীরের ক্লান্তি দূর করে। আবার ত্বক সুস্থ রাখতে এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে মানসিক চাপ কমে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে
শরীর এবং মন ভালো থাকে না। ঘুম খাদ্য পরিপাকেও সাহায্য করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত 7 থেকে 8 ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
শেষ কথা
শীতকাল অত্যন্ত শীতল একটি মাস। এই মাসে আনন্দের পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময়ের সাথে একটি নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। একটি সঠিক অভ্যাস সুস্থ থাকতে এবং চলার পথে অনেক বেশি সাহায্য করে। সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে সুস্থ এবং হাসিখুশি জীবন যাপন করা সম্ভব। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই নিজের অভ্যাসে পরিণত
করুন।
লং টেক বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url