আপেলের উপকারিতা এবং গুনাগুন সম্পর্কে জানুন

 

সকল ধরনের উপকারী ফলের মধ্যে একটি হলো আপেল। আপেল তার উপকারিতা এবং গুণাগুণের জন্য বিশ্বব্যাপী অনেক বেশি প্রিয় একটি ফল।
আপেলের-উপকারিতা-এবং-গুনাগুন-সম্পর্কে-জানুন
আপেল সম্পর্কে একটি কথা বলা হয় যেটি হলো "প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।" অতএব এই কথা দ্বারা বুঝা যায় আপেল কতটা উপকারী হতে পারে। এই আর্টিকেলে আপেল সম্পর্কিত সকল উপকারিতা এবং এর গুনাগুন সম্পর্কে জানানো হবে।

সূচিপত্রঃ আপেলের উপকারিতা এবং গুনাগুন সম্পর্কে জানুন

আপেলে কি ধরনের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়

সাধারণত আপেলে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তবে এতে ক্যালরি কিছুটা কম থাকলেও এতে অনেক পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ১০০ গ্রাম আপেলের হিসাব করলে দৈনিক যেসব পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা হল:
  • ক্যালরি 
  • কার্বোহাইড্রেট
  • ফাইবার
  • পটাশিয়াম
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন কে
এছাড়াও আপেলে স্বল্প পরিমাণ কিছু ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পাওয়া যায়।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আপেল যেভাবে সাহায্য করে

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আপেল অনেক সাহায্য করে। যেহেতু আপেল সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান তাই এতে কোন ক্ষতিকর পদার্থ নেই। এক্ষেত্রে এটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। আপেলে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে ফ্রি রেডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। 
আপেলের-উপকারিতা-এবং-গুনাগুন-সম্পর্কে-জানুন
আপেলের রস ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। এছাড়াও আপেল টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য আপেলের রস এবং কিছুটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে হবে। ব্যবহারের সময় তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগাতে হবে। 
আবার আপেলের পেস্ট বানিয়ে তা ত্বকে কিছু সময় লাগিয়ে রাখলে তা তক উজ্জ্বল এবং মশারিন রাখতে সাহায্য করে। আবার আপেলের রস ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায় এবং ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে ও সাহায্য করে।

আপেল খাওয়ার কিছু ভিন্ন পদ্ধতি

আপেল খাওয়ার কিছু ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যা আপেলের পুষ্টিগুণ পূর্বের থেকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। যেমন আপেল সালাত হিসেবেও খাওয়া যায়। এর জন্য আপেলের সাথে লেটুস পাতা, শসা, আখরোট বাদাম এবং মধু মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে সালাদ হিসেবে খেলে এটি পুষ্টিগুনে বৃদ্ধি পায় এবং এর স্বাদ ভিন্ন হয়। 
আবার আপেলের সাথে দুধ, কলা ব্লেন্ড করে জুস হিসেবে খাওয়া যায়। উক্ত প্রক্রিয়ায় আপেল প্রতিদিন গ্রহণ করলে যেমন এর স্বাদ পরিবর্তন হয় তেমনি এটি শরীরের অনেক উপকারও করে।

যেসব কারণে আপেল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে

আপেল অনেক উপকারী একটি ফল। তবে এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আপেলে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি বা ফ্রুকটোজ থাকে যা শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। চা ডায়াবেটিক রোগীর জন্য অনেক ক্ষতিকর। এছাড়াও আপেলে অতিরিক্ত ফাইবারের উপস্থিতি থাকায় এটি খুব বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দেয় এবং হজমে সমস্যা হয়। তাই আপেল খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিত পরিবারে খাওয়া উচিত।

সুস্থকর জীবন যাপনে নিয়মিত আপেল খাওয়া প্রয়োজন কেন

সুস্থ হওয়ার জীবন যাপনে নিয়মিত আপেল খাওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত আপেল খেলে এটি শরীর এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। আবার আপেল ওজন কমাতেও সাহায্য করে। 
এতে ফাইবারে উপস্থিতি রয়েছে। ফাইবার দীর্ঘ সময় পেটের খাদ্য ধরে রাখে এতে অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও আপেল ত্বকের বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে সুস্থ করার জীবনযাপনে নিয়মিত আপেল খাওয়া প্রয়োজন।

আপেলের কিছু বিশেষ গুনাগুন

আপেল অনেক উপকারী একটি ফল এর অনেক ধরনের গুনাগুন রয়েছে। আপেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম লিভারের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। 
আপেলের-উপকারিতা-এবং-গুনাগুন-সম্পর্কে-জানুন
এছাড়াও এটি লিভারের কার্যক্রম সচল রাখতে এবং চর্বির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আবার এটি অনেক রোগ যেমন শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিজনিত রোগের ঝুঁকি কমায় এবং মানসিক চাপ কমাতেও ভূমিকা রাখে।

আপেলের খোসার কিছু বিশেষ গুনাগুন

আপেল যেমন উপকারী তেমনি এর খোসাও গুণাগুণ সম্পন্ন। আপেলের খোসায় রয়েছে অতিরিক্ত পুষ্টি এবং ফাইবার। যা চুল এবং ত্বকের উন্নতিতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আপেলের খোসার মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

সর্বশেষ মতামত

আপেল অত্যন্ত উপকারী এবং গুনাগুন সম্পূর্ণ একটি ফল। এটি যেমন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তেমনি এটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আপেল নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। আবার এর সকল দিক বিবেচনা করে এটি দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাণে ও সঠিক সময়ে হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লং টেক বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url